আপনাকে আর টাকা পয়সা খরচ করে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখতে হবে না কারন আজকাল ইন্টারনেটের কল্যানে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার সাহায্যকারীকে যে কিনা সকল সময় আপনাকে শিখানোর আগ্রহ নিয়ে বসে আছে। আজকাল ইন্টারনেটে অনেক টিউটোরিয়াল সাইট আছে যেগুলো থেকে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত বইটি ডাউনলোড করে আপনি কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় বিষয় শিখতে পারবেন।
মাইক্রোসফর্ট অয়ার্ড কি?
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড হলো একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং Software যার সাহায্যে ওয়ার্ড এর কাজ করা হয়। যেমনঃ কোন কিছু টাইপ করে কোন ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা হয় এবং ডকুমেন্টটি যাতে ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যায় তার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। আসলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে বলতে হয় আগে সনাতন পদ্ধতিতে যে টাইপ মেশিন ছিলো তারই আধুনিক সংস্করন হলো কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, ধরুন টাইপ মেশিনে টাইপ করা যায় সরাসরি কাগজে এক্ষেত্রে কোন ভূল হলে তা আর ঠিক করার কোন ব্যবস্থা নেই কিন্তু কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোন কিছু টাইপ করা হলে তা আমরা সরাসরি কম্পিউটারের স্ক্রিনে দেখতে পাই। এক্ষেত্রে একসাথে দেখা ও টাইপ করা যায় যার কারনে কোন লেখা ভূল হলে তা সাথে সাথে ঠিক করা যায়। আবার কোন কিছু প্রিন্ট দেওয়ার আগে তা একবার দেখে কোন কিছু ভূল থাকলে তা ঠিক করে বা কোন কিছু যোগ করতে হলে যোগ করে সঠিকভাবে ডকুমেন্ট প্রস্তুত করে প্রিন্ট দেওয়া যায়। প্রিন্ট দেওয়ার আগে আপনার ডকুমেন্টটির প্রিন্ট প্রিভিউ দেখে নিতে পারেন যেন আপনার কাগজের মধ্যে কতটুকু জায়গা নিয়ে আপনার ডকুমেন্টটি প্রিন্ট হবে। যদি আপনার মন মত সেট-আপ না হয় তাহলে আপনি পেজ সেট-আপ থেকে প্রয়োজন মত পেজ সেট-আপ করে প্রিন্ট দিতে পারবেন। কম্পিউটারে যে কোন কাজ করে আপনি সেভ করে রাখতে পারবেন এ কারনে অনেক সময় আপনার সেভ হবে। ধরুন আপনি একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত করলেন যেটি ভবিষ্যতেও প্রয়োজন হবে তাহলে আপনি উক্ত ফাইলটি সেভ করে রেখে দিতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে যখন এ ফাইলটির প্রয়োজন হবে তখন এটিকে ওপেন করে শুধু প্রয়োজনীয় অংশটুকু পরিবর্তন করে আপনি ঐ ফাইলটিকে কাজে লাগেতে পারবেন। অফিস ও ব্যাবসায়িক হিসব রাখার জন্য সাধারনত মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ টেবিল যোগ করেও অফিসের বিভিন্ন হিসাব নিকাশ বা রিপোর্ট প্রস্তুত করতে পারবেন।
আবার আপনার মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে বিভিন্ন ধরনের ড্রয়িং যেমনঃ রেখা আঁকা, বৃত্ত আঁকা এবং ডকুমেন্টের মাঝে যে কোন ধরনের চার্ট ইত্যাদি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যাবহার করে আপনি আপনার ডকুমেন্টে যোগ করতে পারবেন।
আপনার লিখাকে বিভিন্ন মাপে সেট করতে পারবেন এজন্য আপনি Page Setup বব্যহার করে পেজের আকার নির্ধারন করতে পারবেন আবার ধরুন আপনার পেজের Margin কতটুকু হবে তা আপনি এখানথেকে সেট-আপ করতে পারবেন। যেমনঃ পেজের উপরে কতটুকু জায়গা ছাড়বেন, আবার ডানে, বামে অথবা নিচে কতটুকু জায়গা ছাড়বেন তা পেজ-সেট আপ এর মাধ্যমে সেট করতে পারবেন।
মাইক্রোসফটওয়ার্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে প্রদান করা হলঃ
Title bar: মাইক্রোসফট অয়ার্ডের সর্বউপরের নিল রং এর বারটির নাম টাইটেলবার এ বারে সাধারনত ওয়ার্ড ডকুমেন্টের নাম প্রদর্শিত হয়। এখানে বলে রাখা ভালো যে, আপনি একটি ডকুমেন্ট তৈরি করার পর যদি কোন নামে সেভ করেন তাহলে দেখতে পারবেন আপনার দেয়া নামটি এখানে প্রদর্শিত হবে।
Menu Bar: Microsoft Word এর টাইটেল বারের নিচের বারটিই মেনুবার নামে পরিচিত। এ বারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সকল মেনু দেয়া থাকে। আপনার প্রয়োজন মত আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন।
Formula Bar: Microsoft Word এর মেনু বারের নিচে অনেকগুলো ছবি যুক্ত Formula যোগ করা থাকে এখান থেকে যখন যেটি দরকার ইচ্ছামত ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও মেনু থেকেও এ অপশনগুলো ব্যবহার করা যায়।