Sunday, November 29, 2015

ODESK Traning

আউটসোর্সিং কি?


আউট সোর্সিং মানে আউটের লোক দ্বারা কোন কাজ করানো। আমার একটা কাজ যদি বাহিরের কোন লোক দ্বারা করিয়ে তার পারিশ্রমিক প্রদান করে দেই তবে সেটি হবে আউটসোর্সিং। জেমনঃ কোন অফিসিয়াল কাজ করার জন্য আমি যদি টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ নিয়ে সে অফিসে লোক প্রদান করি অফিসের কাজ করার জন্য তাহলে সেটি হবে আউটসোর্সিং। এক্ষেত্রে উক্ত অফিস আমাকে মাস শেষে আমার দরপত্রের টাকা পরিশোধ করবে এবং এ থেকে আমি আমার লোকদের বেতন প্রদান করতে পারব। এখানে আউটসোর্সিং বলতে আমরা বুঝাবো ইন্টারনেটের কাজ করে টাকা আয় করা। ধরা জাক আমরা ইন্টারনেটে অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে জেগুলোতে বিড করার মাধ্যমে কাজ নিয়ে করে জমা দিয়ে আমরা টাকা আয় করতে পারি। বায়ার যদি কাজ বুঝে খুশি হয় তাহলে আপনার টাকা পরিশোধ করে দিবে।


বেকারত্ব দূরকরনে আউটসোর্সিং

আজকাল আমাদের দেশে যে পরিমান ছেলে-মেয়ে পড়ালেখা শিখে বের হচ্ছে সে পরিমান চাকরির বাজার বাড়ছে না। আউটসোর্সিং করে আজকাল অনেক ছেলে-মেয়ে ভালো টাকা ইনকাম করছে। আউটসোর্সিং করার মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বিদেশে পরিশ্রম করে যে টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয় সে পরিমান টাকা দেশে বসেই ইনকাম করা সম্ভব আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে। আমাদের দেশের বেকার ছেলে-মেয়েদের যদি আউটসোর্সিং এর ট্রেনিং প্রদান করে গড়ে তুলা যায় তাহলে আমাদের দেশে আর বেকার ছেলে-মেয়ে থাকবে না। আর আমাদের দেশ ওর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে।





অনলাইনে কাজের ধরনঃ

অনলাইনে অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করে আজ অনেকেই সাবলম্বী। অনলাইনে যেসকল কাজ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম প্রধান কাজ হলো SEO(Search Engine Optimization), Facebook Marketing, Affiliate Marketing, Website Develop, Website Design, এবং আরো আছে Data entry, Web search সহ আরো অনেক কাজ রয়েছে । যেগুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটা কাজ শিখে নিয়ে আপনি কাজ শুরু করে দিতে পারেন। তবে জা শিখবেন তা ভালোভাবে শিখতে হবে। শিখা ছাড়া আপনি কোন কাজ করে শান্তি পাবেন না।


আউটসোর্সিং নামে প্রতারনাঃ

আমাদের দেশে বা কোন উন্নতদেশে আজকাল সকলেই চায় তাড়াতাড়ি বড়লোক হতে ফলে তাকা যে কোন প্রকার প্রতারনার আশ্রয় নিতে চাইবে ফলে তারা যে কোন একটা সাইট তৈরি করে লোকজনকে অনেক টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষকে ফাদে ফেলে। আমার মতে যে সকল সাইট কাজ দেওয়ার নামে টাকা চায় সে সকল সাইটে টাকা প্রদান করে রেজিষ্ট্রেশন না করাই ভালো। প্রতারনার অন্যতম সাইটগুলো হলঃ


১. এম.এল.এম টাইপের কম্পানী।

২. পি.টি.সি টাইপের সাইট এবং

৩. এন্টারনেট ফ্রড।


আজকাল আমাদের দেশে অনেক প্রতারক লোক আছেন জারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে ধনী হওয়ার জন্য একটি সাইট খুলে লোকজনকে অনেক টাকার লোভ দেখিয়ে টাকা টাকা -পয়সা নিয়ে একমাস পর ব্যবসা গুঁটিয়ে চলে যায়। ফলে সহজ সরল মানুষগুলো তাদের টাকা-পয়সা হারিয়ে পাগলের মত ঘুরতে থাকে। আমার মতে এ সকল সাইটের প্রতারনার ফাঁদে পা না দেওয়াই ভালো।



আউটসোর্সিং নিয়ে কিছূ কথাঃ

আজকাল আমাদের দেশে কম্পিউটার ব্যবহারকারী ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধী পাচ্ছে। আসলে অনেকেই আছেন জরা সঠিক ইন্টারনেট ব্যবহার জানেন না। ইন্টারনেট এর সিঠিক ব্যবহার করতে পারলে আপনিও ইন্টারনেট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ আয় করে সাবলম্বি হতে পারবেন। আজকাল দেশের ছেলে-মেয়েরা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এর পড়া লেখা শেষ করার পর সরকারী ও বেসরকারী চাকুরির আশায় বসে না থেকে তারা জদি আউটসোর্সিং শিখে ইন্টারনেটের আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে এপ্লাই করে কাজ করতে পারে তবে তারা সাবলম্বি হতে পারবে। আমাদের দেশের সরকার যদি বেকার ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে তবে এ বেকার ছেলে-মেয়েদের জনশক্তিতে রুপান্তর করে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন করার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করতে পারবেন। আমাদের সকলেরি উচিত কাজ শিখে কাজ করা।


অনলাইনে আউটসোর্সিং

অডেক্স/ আপওয়ার্ক এ ন্তুন একাউন্ট তৈরি করাঃ


upwork এ নতুন একাউন্ট তৈরি করার জন্য প্রথমেই আপনাকে www.upwork.com এ জেতে হবে। www.upwork.com সাইটে ঢুকার পর Singup বাটনে ক্লিক করলে একটি Form আপনার সামনে উপস্থিত হবে সেখানে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য টাইপ করে আপনার রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

upwork এ রেজিষ্টেশন করার জন্য দু'টি পদ্ধতি আছে।


১. I need a Contractor.


আমাদের হাতে যদি কোন কাজ থাকে আর সে কাজগুলো অন্যকারো দিয়ে করিয়ে নিতে চাই তাহলে আমরা এ অপশন থেকে রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে পারে।


I Need job.

আমরা যদি upwork থেকে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চাই তাহলে এ পদ্ধতি ব্যাবহার করে রেজিষ্ট্রেশন করে আমরা কাজ করতে পারি। এ অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি ফর্ম আসবে সেখানকার ফিল্ডগুলো আপনাকে যথাযথভাবে পূরন করতে হবে।

  1. First Name: এর যায়গায় আপনার নামের প্রথম অংশ দিন।
  2. Last Name: এর যায়গায় আপনার নামের শেষের অংশ দিন।
  3. Email : বক্সে আপনার Email ID টি দিন।
  4. City : বক্সে আপনার শহরের নাম লিখুন।
  5. Country : এ বক্সে আপনার দেশের নাম লিখুন।
  6. USer name: আপনার পছন্দমত একটা Username বাছাই করুন যেটি আপনার মনে থাকবে। (যেমনঃ Jony2016, rony7171).
  7. Password: চাবি যেমন আপনার তালা খুলার কাজে লাগে তেমনি আপনার একাউন্টে ঢুকার জন্য একটি Password এর দরকার পড়বে আপনার Password টি অন্যকেউ যেন না জানে।
  8. Re-type Password: উপরের Password টি আবার টাইপ করুন।
  9. How did you heard about oDesk/Upwork: এ বক্সের লিষ্ট থেকে একটি সিলেক্ট করুন।
  10. শেষের একটা ক্যাপচা বক্স দেখতে পাবেন নিচের ছবিতে যে লেখাটি থাকবে তা এ বক্সে টাইপ করবে হবে।

সবশেষে Get Started বাটনে ক্লিক করলে আপনার Email Address এ Upwork কর্তৃপক্ষের নিকট হতে একটা Email পাবেন। আপনার Email Account ওপেন করে oDesk থেকে প্রাপ্ত Email টি ওপেন করে এখানে একটা Verification লিংক পাবেন সেটিতে ক্লিক করলে আপনার একাউন্ট ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।


Upwork এ প্রফাইল তৈরি করাঃ


oDesk/ upwork এ প্রত্যেকটি কনট্রাক্টরের ব্যক্তিগত পরিচ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্ম দক্ষতা, ইত্যাদি প্রফাইলে যোগ করতে হয়। প্রফাইল তৈরির ধাপগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

oDesk/upwork এ লগইন করার পর আপনার প্রফাইলে ঢুকে Create Your Profile বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি Form আসবে সে ফর্মটি আপনাকে যথাযথভাবে পূরন করতে হবে। প্রফাইলে সবকিছু যদি ঠিকঠাকভাবে যোগ করতে পারেন তাহলে আপনার প্রফাইলের স্টাট্যাসবার ভরতে থাকবে। আপনার স্টাট্যাসবার যদি ১০০% পুরন করতে পারেন তাহলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

  1. আপনার নামটি কিভাবে শো করবে তা নির্বাচন করে দিতে হবে।
  2. তারপর আপনার কম্পিউটার থেকে আপনার পছন্দমত একটি ছবি যুক্ত করে দিতে হবে।
  3. Title এর ঘরে আপনি যে কাজটি করতে পারবেন সে অনুযায়ী একটি Title দিন।
  4. Overview : এর ঘরে সুন্দর একটা overview লিখুন যাতে প্রমান হয় যেন আপনি কাজটি করতে পারবেন।

Overview এর ঘরে আপনার অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আপনার কাজের প্রমান, আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরুন, বায়ার আপনাএ জখন পছন্দ করবে তখন আপনার Overview দেখে আপনার সম্পর্কে একটা ধারনা পাবে।


Overview লিখার কিছু টিপস।


  1. অন্য কারো Overview কপি করবেন না। আপনার Overview অবশ্যই ইউনিক রাখবেন।
  2. আপনি আপনার Overview কে এমনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন যেন বায়ার আপনাকে তার কাজের জন্য উপজোগী মনে করেন।
  3. ওভারভিউ লিখার সময় প্রতিটি লাইন ভালোভাবে চেক করুন। Grammar এবং বানানগত ভুলগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখুন।
  4. Overview মানে আপনি যখন কোন চাকুরির জন্য Application করেন ঠিক সেটির মত। প্রত্যেকটা কাজের জন্য আলাদা আলাদাভাবে Overview লিখতে হবে।

Hourly Rate:

আপনি oDesk/upwork এ ঘন্টা প্রতি কত ডলারে কাজ করবেন সেটা এখানে উল্লেখ করতে পারেন আপনি যত ডলার উল্লেখ করবেন oDesk/upwork আপনার রেটের সাথে ১০% যোগ করে Charge to Client এর ঘরে শো করবে এবং এ টাকাটা Client এর নিকট থেকে চার্জ করবে। আমার মতে প্রথমে কম ডলার চার্জ করাই ভালো।


Elglish Level:

আপনার ইংরেজি জানার উপর নির্ভর করে এ ফিল্ডটি পূরন করতে হবে।


Job Categories of interest:

আপনি যে সকল কাজ এখান থেকে সিলেক্ট করে দিন। এজন্য প্রথমে JOb Categories of Interest এর নিচ থেকে "Add Job Categories That Apply to You" লিংকে ক্লিক করুন।


Profile Visibility.

আপনার প্রফাইল প্রদর্শন এর লিমিটেশন এর মাধ্যমে সেট করে দিতে পারেন। এখানে তিনটি অপশন পাবেন।

  1. Everyone এ অপশনটি সেলেক্ট করার মাধ্যমে সবাই আপনার প্রফাইল দেখতে পাবে।
  2. oDesk user only- এর মাধ্যমে oDesk এর ইউজাররা শুধুমাত্র আপনার প্রফাইল দেখতে পাবে।
  3. Hidden আপনার প্রফাইলকে লুকিয়ে রাখার জন্য এ অপশনটি ব্যবহার করা যায়। আপনি যার কাজে Apply করবেন শুধুমাত্র সেই বায়ারই আপনার প্রফাইল দেখতে পারবে।

অনলাইনে আউটসোর্সিং বলতে বুঝায় সাধারনত ইন্টারনেটে কাজ করার মাধ্যমে টাকা আয় করা। এন্টারনেটে অনেক সাইট রয়েছে জেগুলোতে কাজ করে টাকা জয় করা যায়। সাইটগুলোর মধ্যে oDesk এ কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। আবার oDesk এ নতুনদের জন্য কাজ করার অনেক অপশন আছে। oDesk এ দু’ধরনের কাজ পাওয়া যায়। ১। ঘন্টা চুক্তিক কাজ আবার ২। নির্দিষ্ট দামের কাজ।



১. ঘন্টা চুক্তিক কাজঃ - এ কাজগুলো আওয়ারলী রেটে সাধারনত জত ঘন্টা কাজ করবেন তত ঘন্টার টাকা oDesk আপনাকে পরিশোধ করবে। ধরুন আপনি প্রতিদিন ৫ ঘন্টা কাজ করলেন oDesk আপনাকে ৫ ঘন্টার টাকা পরিশোধ করবে। আপনি যদি ৫ ডলার ঘন্টা চুক্তিতে কাজ পান তবে oDesk আপনার প্রতি ঘন্টার জন্য ৫ ডলার হিসাবে প্রদান করবে। কিন্তু oDesk তার ফি হিসাবে প্রতি ঘন্টার জন্য ১০% হারে টাকা কেটে নিবে।


২. নির্দিষ্ট মূল্যের কাজঃ oDesk এ আরেক ধরনের কাজ পাওয়া যায় তা হলো নির্দিষ্ট মূল্যের কাজ। যে কাজের মূল্য সাধারনত উল্লেখ করা থাকে। যেমন একটি কাজ করলে বায়ার আপনাকে ২৫০ ডলার পরিশোধ করবে। এখানে আপনি যত কম দামে বিড করতে পারবেন আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। কিন্তু oDesk নির্দিষ্ট মুল্যের কাজের জন্য কোন দ্বায়িত্ব গ্রহন করবে না, আপনি কাজ করার পর যদি টাকা না পান তাহলে oDesk কম্পানী আপনার টাকা পাওয়ার ব্যপারে কোন সাহায্য করতে পারবেনা।




oDesk এ কাজ শুরু করা।

oDesk এ কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে www.odesk.com সাইটে ঢুকে রেজিষ্ট্রেশন করতে হব। রেজিষ্ট্রেশন করার পর আপনার জন্য ভালো একটা প্রফাইল তৈরি করতে হবে। ভালো একটা প্রফাইল তৈরি করতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। oDesk এ অনেক Skill Test দেওয়ার ব্যবস্থা আছে টেষ্ট দিয়ে আপনার জোগ্যতার প্রমান দিতে পারেন। যত বেশি Skill Test দিতে পারবেন ততই আপনার প্রফাইল শক্তিশালী হবে। আপনার প্রফাইল দেখে বায়াররা সন্তুষ্ট হলে আপনাকে কাজ প্রদান করতে আগ্রহ প্রদান করবে। oDesk এ জারা কাজ জমা দেন তাদেরকে বলা হয় বায়ার এবং যারা oDesk থেকে অর্থ আয় করার জন্য কাজ করেন তাদেরকে বলা হয় contractor. আপনি oDesk এ একটি কাজের জন্য বিড করে কাজ পাওয়ার পর তা সঠিকভাবে সম্পাদন করে oDesk এ জমা প্রদান করার পর বায়ার যদি আপনার কাজ দেখে সন্তুষ্ট হন তাহলে পরবর্তিতে কোন কাজ প্রদান করার আগে আপনাকেই খুজবে। বায়ারকে খুশি রাখার জন্য বায়ারের সাথে সবসময় সুসম্পর্ক রাখতে হবে। কখনো বায়ারের সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবেনা। কারন বায়ার আপনাকে খারাপ ফিডব্যক প্রদান করলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। oDesk এ কাজ পাওয়ার জন্য কোন কাজে বিড কয়ার আগে উক্ত কাজ সম্পর্কে আপনার একটি ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর উক্ত কাজ সম্পর্কে আপনি যে অভিজ্ঞ তা বুঝানোর জন্য আপনাকে সে কাজ সম্পর্কে Cover letter লিখতে হবে। Cover letter যত ভালো হবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ততবেশি বেড়ে যাবে। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদাভাবে কভারলেটার তৈরি করতে হবে। প্রত্যেকটি কাজের জন্য একই কভার লেটার সাবমিট করলে ভালো ফল পাওয়া যায় না।


ফ্রি-স্কিল টেষ্ট দেওয়া।

oDesk এ কাজ করার জন্য আমাদের প্রোফাইলকে শক্তিশালী করতে হয়। প্রফাইল শক্তিশালী করার জন্য ODesk এ অনেক ফ্রি টেষ্ট এর ব্যবস্থা আছে সে পরীক্ষাগুলো দিয়ে আপনার প্রফাইলকে শক্তিশালী করতে পারেন। আমরা যে কাজগুলো করতে চাই ঐ সকল কাজের পরীক্ষায় যদি পাশ করা থাকে তাহলে বায়াররা কাজ প্রদান করতে আগ্রহী হবে। আর আপনি যে কাজটি করতে পারবেন সে সম্পর্কে বায়ারের একটি বিশ্বাসের জন্ম হবে।


oDesk /upwork এর একাউন্ট এর একাউন্ট সাস্পেন্ড হওয়ার পেছনে কি কি কারন থাকতে পারে।

একাউন্ট সাসপেন্ড হওয়ার পেছনে যে সকল কারন রয়েছে তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

১। একই পিসি তে একাধিক একাউন্ট তোরি করে সকল একাউন্টে কাজ করা।
২। অন্যের প্রফাইল নকল করে নিজের প্রফাইলে যোগ করে দেয়া।
৩। অন্যের সম্পন্ন করা কাজ নিজের পোর্টফলিওতে আপলোড করা।
৪। অন্যের লেখা কভার লেটার নকল করা। একই কভার লেটার একাধিক জব এ জমা দিয়া।
এ সকল কাজগুলো সবসময় না করাই ভালো।

প্রফাইল ১০০% পূর্ণ না হলে সাধারনত upwork থেকে কাজ পাওয়া যায় না। তাই প্রফাইল ১০০% পূর্ণ হওয়ার পর কোন কাজে বিড করাই ভাল।


জব খোঁজাঃ

oDesk যা বর্তমানে upwork নামে পরিচিত এখানে লগইন করার পর আপনাকে কাজ খুজতে হবে। কাজ খুজার জন্য ওয়েবসাইটের বাম সাইডবারে দেখতে পাবেন Catagory অনুযায়ী কাজের list দেওয়া আছে। সেখান থেকে একটি কাজ নির্বাচন করলে সে সম্পর্কিত কাজগুলো Body তে শো করবে। সেখান থেকে যে কাজটি আপনি পারবেন সেটিতে আপনি বিড করতে পারবেন।


জব সিলেক্ট করাঃ

Catagory থেকে একটি Item এ ক্লিক করার পর বডিতে সে সে সম্পর্কিত কাজ থেকে আপনার পছন্দের কাজটিতে ক্লিক করলে ঐ কাজে আপনি Apply this Job বাটনে ক্লিক করে Job টিতে Apply করতে পারবেন। কিন্ত আপনি জে কাজটি পারবেন শুধুমাত্র সে কাজটিতেই Apply করবেন।


জব ডিস্ক্রিপশনঃ

কোন কাজের উপর ক্লিক করার পর ঐ কাজ সম্পর্কিত বর্ণনা আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে। বর্ণনা দেখে আপনার যদি মনে হয় আপনি কাজটি করতে পারবেন তাহলে Job টি পাওয়ার জন্য Apply করতে পারবেন।


Skills Requirments:

Job Description এর ভিতর Skills Requirments দেওয়া থাকে সেখানে বলা থাকে আপনাকে কোন কোন কাজ জানতে হবে।


Preferred Qualifications:

Job Description এর ভিতর আরেকটি অপশন থাকে যেখানে উল্ল্যেখ করা থাকে আপনি কাজটি করার জন্য জোগ্য কিনা। যে কাজগুলো করার জন্য আপনি যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি সেটি হলুদ হয়ে থাকবে আর যে কাজের জন্য আপনি Qualified হয়েছেন সেটি টিক দেওয়া থাকবে।


oDesk থেকে আয় করা অর্থ উত্তোলন করাঃ

oDesk থেকে আয় করা অর্থ দেশে আনার জন্য অনেক পদ্ধতি আছে জার মধ্যে Skrill অন্যতম। oDesk থেকে অর্থ আয় করার পর আপনাকে www.skrill.com সাইটে টুকে রেজিষ্ট্রেশন করে আপনার জন্য একটা একাউন্ট করে নিতে হবে এবং বাংলাদেশের যে ব্যাংকে আপনার একাউন্ট আছে ঐ একাউন্ট নাম্বার Skrill এ যোগ করে দিতে হবে। এবং আপনার Skrill এ প্রদান করা Email ID টি oDesk এ প্রদান করলে oDesk আপনার অর্থ skrill এ প্রদান করবে এবং skrill আপনার অর্থ আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিতে পারবে।

Skrill

Money Broker এর বর্তমান সংস্করন হলো Skrill যা Moneybroker ই। এই Skrill এর মাধ্যমে অনায়াসে টাকা লেনদেন করা যায়। এটা একটি ঝামেলাবিহীন ও নিরাপদ মাধ্যম হিসাবে কাজ করে। অনেক Freelancing site Paypal এর পরবর্তে Skrill ব্যবহার করে কারন অনেক দেশ আছে যে দেশগুলোতে Paypal Support করেনা। সে দেশগুলোতে Skrill এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায়। ওডেস্ক থেকে আয় করা টাকা Skrill এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সাধারন্ত দু'টি পদ্ধতিতে আনা যায়। একটি হলো চেকের মাধ্যমে অন্যটি ব্যাংকের মাধ্যমে। Skrill থেকে প্রতিবার Bank Wire Transfer করতে আপনার একাউন্ট থেকে ৩ ডলার করে কেটে নেয়া হবে।

যে ভাবে Skrill এ রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে।

আপনাকে প্রথমে oDesk এর Settings খুজে বের করতে হবে Settings সাধারনত logout এর উপরে পাবেন। Settings এ যাবার পর আপনি Get Paid একটা অপশন পাবেন এ অপশনে ক্লিক করে আপনি Skrill খুজে বের করতে হবে। তারপর Skrill এর নিচে থেকে Don't have a Skrill account এ ক্লিক করার পর Skrill এর অয়েবপেজ আসবে পেজের Sing up বাটনে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনিয় ইনফরমেশন টাইপ করে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এবার Country of residence এর ড্রপডাউন মেনু থেকে Bangladesh সিলেক্ট করুন।

Perfece language থেকে English বাছাই করুন।

Personal Account ডিটেইলস বক্সের Sing up বাটনে ক্লিক করুন।

Title: এ আপনার স্যার নেম দিন।

First Name: এ আপনার নামের প্রথম অংশ দিন।

Last Name: আপনার নামের শেষের অংশ দিন।

Country of Residence: লিষ্ট অপশন থেকে Bangladeh Select করুন।

Street Address: এ যায়গায় আপনার বাসার ঠিকানা দিয়ে দিন।

State Region: আপনার দেশের নাম দিন।

Postal Code: আপনার এলাকার পোষ্ট কোড দিয়ে দিন।

City/Town : এ যায়গায় আপনার শহরের নাম লিখুন।

Mobile Number : এর যায়গায় আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিন।

Date of Birth: এখানে আপনার জন্ম তারিখটি দিয়ে দিন।

Currency: এ যায়গায় আপনি US Dollar অথবা ইউরো বাছাই করে দিতে পারেন।

Language: এ যায়গায় আপনি English বাছাই করে দিতে পারেন।

Email Address: এর যায়গায় আপনি আপনার Email ID টি দিয়ে দিতে পারেন।

Confirm Email Address: এখানে উপরের Email Address টি আবার টাইপ করে দিতে হবে, যাতে দু'টো ইমেইল এড্রেস মিলে যায়।

Password: আপনার পছন্দের একটি Password দিতে হবে যা দিয়ে শুধুমাত্র আপনি আপনার একাউন্টে ঢুকতে পারেন। আপনার Password টি যেন অন্য কেউ না জানে।

Confirm Password: আগের Password টি পুনরায় টাইপ করতে হবে যাতে দু'টি Password ই মিলে যায়। একটির ভূল হলে রেজিষ্ট্রেশন হবে না।

সবশেষে একটা ছবি আসবে ছবিতে কিছু অক্ষর থাকবে অক্ষরগুলো নিচের বক্সে টাইপ করতে হবে এর কারন হলো আপনি মানুষ নাকি রোবট সেটা বুঝার জন্য।


রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লিট করার জন্য আপনাকে Accept and create Account বাটনে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন শেষ করতে হবে।

ঠিকানা নিশ্চিত করাঃ

Skrill থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার ঠিকানা Verification করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন শেষ করার পর পূনরায় Skrill এ লগইন করার পর My Account এ ঢুকে Account Status অংশ থেকে Address verify লিংকে ক্লিক করলে একটি পেজ আপনার সামনে উপস্থিত হবে সেখানে আপনার ঠিকানা দেখাবে। Send me a Verification letter বাটনে ক্লিক করলে আপনার ঠিকানায় দশ-পনের দিনের ভিতর Skrill থেকে একটা চিঠি আসবে। চিঠিতে আপনাকে ছয় সংখ্যার একটি কোড পাঠানো হবে। কোডটি পাবার পর সাইটে লগইন করে My Account এ ঢুকে Profile পৃষ্টার ঠিকানার পাশে Verify লিংকে ক্লিক করুন। এরপর আপনার কোডটি জমা দিন। এখন Skrill এর মাধ্যমে আপনি টাকা আনতে ও ইন্টারনেট থেকে কোন জিনিস ক্রয় করার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

Skrill থেকে আপনার ব্যাংকে টাকা আনতে যা করতে হবে।

Skrill থেকে টাকা ব্যাংকে আনতে আপনার Skrill একাউন্টে আপনার স্থানীয় ব্যাংক একাউন্টটি যোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, Bank Account Holder name, Bank Address, SWIFT Code ইত্যাদি প্রদান করার পর Skrill আপনার Account Verification করে নিবে। Skrill একাউন্টে আপনার একাউন্ট থেকে যদি কিছু ডলার যেমন ৫ থেকে ১০ ডলার খরচ করেন তবে অনায়াসে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে Skrill একাউন্টে টাকা পাঠানো সম্ভব নয়। তাই আমাদের অন্য পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে।

  1. আপনি upwork থেকে আপনার আয়কৃত টাকা Skrill এর মাধ্যমে আপনার ব্যাংক থেকে দু'বার উত্তোলন করতে পারবেন আপনার Bank একাউন্ট Verification না করেই।
  2. টাকা ব্যাংকের একাউন্টে জমা হবার পর আপনি আপনার ব্যাংক থেকে বিগত ছয় মাসের স্টেটেমন্ট চেয়ে নিন। সে স্টেটমেন্টের মধ্যে স্কিল থেকে যে অর্থ পেয়েছেন তার তারিখ ও ডলারের পরিমান উল্লেখ থাকবে।
  3. এই ডলার কার কাছ থেকে পেয়েছেন তার প্রমানপত্র লিলানোর জন্য Bank থেকে SWIFT Transcation নামক আরেকটি কাগজ আপনাকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।
  4. ব্যাংকের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কাগজগুলো সত্যায়িত করে স্ক্যানিং করে নিন সাথে আপনার প্রমানপত্র যেমন Passport অথবা National ID Card এর কপিও স্ক্যানিং করে নিতে হবে।
  5. আপনার স্ক্যানিং করা কাগজপত্র merchantservice@skrill.com এই এড্রেসে ই-মেইল করে দিতে হবে। ইমেইলের Subject হিসাবে Manual Bank Account Vericication উল্লেখ করতে হবে। Email body তে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করুন বাংলাদেশ থেকে Skrill একাউন্টে কোন টাকা পাঠানো যায় না। তাই ব্যাংকের সকল কাগজপত্র Email এর সাথে Attatched করে দিছেন। তার যেন সবকিছু চেক করে Bank Account টি Verification করে দেয়।
  6. Email পাঠানোর ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে স্কিল থেকে একটি ইমেইল পাবেন। আপনি উপরের কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে করতে পারলে স্কিল কর্তৃপক্ষ আপনার ব্যাংক্ক একাউন্টটি নিশ্চিত করে নিবে। আপনার ব্যাংক একাউন্ট Verify হয়ে গেলে আপনি Skrill এর সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

Payoneer:

Payoneer হলো একটা online Banking যা আমেরিকার একটা প্রতিষ্টান যার মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন যায়গা থেকে টাকা উঠানো ও কেনা বেচা করা যায়। আপনি payoneer এর মাধ্যমে oDesk থেকে আয় করা অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে www.payoneer.com সাইটে ঢুকে নিজের জন্য একটা একাউন্ট খোলার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন ঠিকমত হলে payoneer কর্তৃপখ ১৫ থেক ২০ দিন সময় নিবে আপনার ঠিকানায় একটা master card পৌচ্ছে দেওয়ার জন্য। কার্ডটি পাওয়ার পর আপনাকে www.payoneer.com সাইটে ঢুকে আপনার Email Id এবং Password দ্বারা লগইন করে কার্ডের শেষ চারটি সংখ্যা প্রদান করতে হবে এবং আপনার পছন্দমত চারটি সংখ্যা Pin code সেট করার জন্য প্রদান করতে হবে। Payoneer এর কার্ড ফ্রি পাওয়ার জন্য নিচে একটি লিংক দিয়ে দিলাম যদি কারো দরকার হয় তাহলে এই লিংকে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন করে কার্ডটি নিয়ে নিতে পারেন। এই লিংকে ক্লিক করেন।


উল্লেখ্য যে, যার এ কার্ডের কোন দরকার নেই তারা দয়াকরে কার্ড অর্ডার করবেন না।


কারন প্রতি কার্ডের জন্য আপনাকে বছরে ২০ ডলার খরচ করতে হবে। আপনি একাউন্টে টাকা আনতে না পারলে বছরে কেমনে টাকা পরিশোধ কোরে কার্ডটিকে সচল রাখবেন। তাই জারা ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করেন তারাই শুধুমাত্র কার্ডটি পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন।



Paypal :

Paypal একটা International মানি ট্রান্সফারের মাধ্যম এবং এটি সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম। প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটই paypal সাপোর্ট করে। এ একাউন্টের মাধ্যমে আপনি যে কোন সাইট থেকে পন্য ক্রয় করতে পারবেন। প্রত্যেকটি ই-কমার্স সাইটই paypal সাপোর্ট করে। paypal এর মাধ্যমে E-commerce ব্যবসায় এক অভূতপূর্ব বিপ্লব ঘটিয়েছে। কিন্তু আত্যান্ত দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশে paypal সাপোর্ট করেনা। কারন আমাদের দেশে আজ পর্জন্ত paypal তাদের ব্যবসা চালু করতে পারেনি। তবে অন্যভাবে আপনি Paypal থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আপনার যদি অন্য কোন দেশে কোন আত্মীয় থাকে তবে তার মাধ্যমে paypal এর টাকা উত্তোলন করে দেশে আনতে পারবেন। আবার আপনার যদি কোণ International Mastercard থাকে তাহলে আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে Paypal এর টাকা আনতে পারবেন।

Categories: