Sunday, November 15, 2015

Affiliate Marketing

এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বুঝায় নির্দ্দিষ্ট পরিমান কমিশনের মাধ্যমে অন্যের পন্য বিক্রয় করার মাধ্যমে নির্দ্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাওয়া/ আয় করা। ধরুন আপনি কোন একটা কম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ যে, ঐ কম্পানীর পন্য বিক্রয় করলে আপনি ঐ পন্যের দামের উপর ১০% হারে কমিশন পাবেন। ধরা যাক, কম্পানির একটি পন্য ১০০ টাকায় বিক্রয় করলে আপনি পাবেন ১০ টাকা এভাবে ১০০ টি মাল বিক্রি করতে পারলে আপনি পাবেন ১০০০/- টাকা। মাসে যদি আপনি ১০০০ পিস মাল বিক্রি করেন তাহলে আপনি পাবেন ১০,০০০/- টাকা আপনার বিক্রয় যত বাড়াতে পারবেন কমিশনও তত বাড়তে থাকবে। এ কাজটি আপনি আনায়াসে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন পড়বে একটি কম্পিউটার, একটি ইন্টারনেট লাইন ও আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট অথবা একটি ব্লগিং সাইটের যেখানে আপনি আপনার এফিলিয়েটলিংকটির প্রচার চালাতে পারবেন। এফিলিয়েট ব্যবসা অনেক বড় বাজেটের একটি ব্যবসা প্রতি বছর এ খাতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ইনভেষ্ট হয়ে থাকে। আজকাল ইন্টারনেটে অনেক ই-কমার্স সাইট রয়েছে যে সাইটগুলো বিভিন্ন পন্য বিক্রয় করার মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। আবার এ সকল সাইট তাদের বিক্রয় বাড়ানোর জন্য একটি এফিলিয়েট লিংক প্রদান করে থাকেন যে লিংকটি ব্যবহার করে যে কেউ উক্ত সাইটের অংশীদার হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে। এফিলিয়েট লিংকটি ব্যবহার করে যে কেন লোক উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে এবং বিক্রয়ের উপর কমিশন পেতে পারে। ইন্টারনেটের কল্যানে আজ মানুষ ঘরে বসেই তার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ও বেচতে পারছেন। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বসে যে কেউ ইচ্ছা করলেই তার প্রয়োজনীয় জিনিষটি অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারেন। আপনি যদি ইন্টারনেটের কোন সাইট থেকে কোন পন্য ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইন ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে। আজকাল ইন্টারনেটে অনেক অনলাইন ব্যাংক আছে যেগুলো অনেক বিশ্বস্ত। ই-কমার্স সাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম সাইট হলো amazon.com


ও ebay.com সাইট এবং আরো অনেক সাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি রেজিষ্ট্রেশন করে একটি এফিলিয়েট লিংক নিয়ে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। আপনার লিংকের সাইট ভিজিট করে যদি কোন ভিজিটর উক্ত সাইট থেকে কোন পন্য ক্রয় করে তবে আপনি পেয়ে যাবেন নির্দ্দিষ্ট পরিমান একটা কমিশন। এমনও হতে পারে আপনি একটি পন্য ক্রয় করে পেয়ে যেতে পারেন ১০০ ডলার এরূপ ৩টি পন্য মাসে বিক্রয় করতে পারলে আপনি পাবেন ৩০০ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৪০০০/- টাকা আপনার মাস চালানোর খরচ উঠে আসবে। এ জন্য আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে আপনার সাইটে উক্ত এফিলিয়েট লিংকের একটা লিংক দিয়ে আপনার সাইটকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে সাইটে অধিক সংখ্যক ভিজিটর আনতে পারলে যে কোন পরিমান পন্য বিক্রয় করা সম্ভব। সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেটে অনেক সাইট রয়েছে। নিম্নে আমার কপি করা একটি বই এর লিংক প্রদান করে দিলাম। এ লিংক থেকে বইটি ডাউনলোড করে নিয়ে পড়তে পারেন।
এখানে ক্লিক করুন সার্চ ইঞ্জিন বইটি ডাউনলোড করার জন্য।

এফিলিয়েট মার্কেটিং একটা ঝামেলা বিহীন ব্যবসা আপনার কোন প্রকার পুজি বিনিয়োগ করার দরকার নেই শূধু একটু সময় ব্যয় করলেই মাসে একটা ভালো মানের কমিশন আপনি পেতে পারেন। আপনার যদি একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট লাইন থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার প্রচারকৃত লিংক থেকে যদি কোন ভিজিটর কোন পন্য ক্রয় করে তবে আপনি ঐ পন্যের দামের উপর কমিশন পেয়ে যাবেন। আপনার কমিশনের টাকা আপনার ঐ সাইটের একাউন্টে জমা হবে। পরবর্তিতে আপনি যে কোণ অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা তুলে নিতে পারবেন। আপনি হয়ত ভাবতে পারেন এটা একটা ভূয়া ব্যবসা কারন আপনার দ্বারা কোন পন্য বিক্রয় হলে আপনি কেমনে জানবেন আথবা আপনি কমিশন কিভাবে পাবেন ইত্যাদি নানান ধরনের প্রশ্ন আপনার মাথায় আসতে পারে? আমার জানামতে এটা ১০০% নিরাপদ ব্যবসা কারন আপনার লিংকের মাধ্যমে কোন পন্য বিক্রি হলে তার কথ্য আপনার একাউন্টে শো করা হবে এবং আপনি কত টাকা কমিশন পেলেন সেটিও আপনার একাউন্টে শো করা থাকবে আপনার এক টাকাও মেরে খাওয়া হবে না। আপনার টাকা আপনাকে পরিরূর্ণভাবে প্রদান করা হবে। আপনি চাইলে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন একটি ই-কমার্স সাইট যার মাধ্যমে আপনি পন্য বিক্রয় করার মাধ্যমে নিজেই ই-কমার্স সাইট পরিচালনা করতে পারেন। এখানে একটা সধারন উদাহরনের মাধ্যমে বিষয়টা পরিস্কার করা যাক। ধরুন আপনি amazon.com সাইট

 
image of amazon.com


এর মাধ্যমে Affiliate Marketing করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি amazon.com সাইটে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে। তারপর সাইটে ঢুকলে আপনি পাবেন Affiliate নামে একটি ট্যাব এ ট্যাবে ক্লিক করলে আপনি একটি লিংক পাবেন এটিই আপনার Affiliate link এ লিংকের প্রচার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।